আজ একবছর হল তুমি
আমাদের সান্নিধ্যে নেই ।
প্রতি মূহুর্তে তোমার উপস্থিতি ,
তোমার অভিভাবকত্বের জন্য
হাহাকার করি ।
প্রতিটি কাজেই বুঝিয়ে দেয়
তোমার শূন্যতা ।
বারবার মনে হয়
তুমি ছাড়া আমাদের জীবন অচল,
থমকে যাই প্রতি কাজে ।
আবার তোমার ইচ্ছে,তোমার উদ্যম এর
কথা ভেবে সোজা হয়ে দাঁড়াই ।
প্রতিদিন এই ভেঙে পড়া আবার উঠে দাঁড়ানো,
এই ভাবেই চলছে আমাদের দিন ।
আমরা তিনজন একে অপরের
পরিপূরক ছিলাম ,
তিনজন মিলে তো আমরা আনন্দে
ঘুরে ফিরে ভালো ছিলাম ।
সেই বন্ধন ছেড়ে তুমি পাড়ি দিলে
কোনো এক অজানালোকে,
আমাদের একদম একা করে ।
কি করে সম্পুর্ণ করব তোমার
ফেলে রাখা দায়িত্বের কাজ ?
আমি তো তোমার মতো সর্বগুন সম্পন্না নই ,
তোমার প্রতিটি কাজের প্রতি
এত নিষ্টা,এত ভালোবাসা,এত দক্ষতা
সে তো আমার নেই ।
সে শুধু তোমারই ছিল ।
তুমিই পারো করতে ।
নিঃশব্দে তুমি কাজ করে যেতে ।
কাজ আর পরিবার
এই ছিল তোমার জীবন ।
তুমিই পেরেছ তোমার ভালোবাসা
আর দক্ষতা দিয়ে তোমার কাজকে
নিখুঁত ভাবে করতে ।
তাই সকলে তোমার উপর নির্ভরশীল ।
তুমিই পেরেছ তোমার ভালোবাসা
দিয়ে আমাদের পরিবারকে সুখে
স্বাচ্ছন্দ্যে আনন্দে রাখতে ।
এখন আমরা তোমাকে ছাড়া
কি করে আনন্দে সুখে থাকব,
বলে দাও তুমি ।
তুমি কোথায় আছো আমাদের
তা অজানা ।
খুব মনে হয় ঐ অজানা জগৎটাকে
যদি আবিষ্কার করা যেত…
যদি আবার তোমাকে ঐ জগৎ
থেকে আমাদের কাছে
নিয়ে আসতে পারতাম….
মনে হয় ছুটে চলে যাই তোমার কাছে
নিয়ে আসি হাত ধরে,
চলি আমরা একসাথে আরো অনেক পথ ।
এখনও তো অনেক কাজ ছিল
আমাদের একসাথে করার,
শেষ করা হল না তো ।
তোমার যে অনেক কাজ করার ইচ্ছে ছিল,
তোমার তো অজানাকে জানার
অদম্য ইচ্ছা ছিল,
তুমি তো মহাকাশ নিয়ে পড়াশুনা করছিলে,
জানার চেষ্টা করছিলে ,
সুযোগ পেলেই ডুবে থাকতে ঐ জগতে ।
তাই কি তুমি ঐ জগতেই চলে গেলে জানতে ?
এই জগতে থেকেই তো সব করতে পারতে
তুমি সংগীত ভালোবাসতে
চর্চা করছিলে সংগীতকে জানার ।
সেটা তো সম্পূর্ণ হল না ।
এসো, এসো তুমি আবার আমাদের কাছে,
তোমার সমস্ত স্বপ্ন সফল করবার জন্যে ।
তোমার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করে যাও ।
যে জগৎটাকে আমরা এখনো
জানতে পারিনি, ধরতে পারিনি,
তুমি আবিষ্কার করবে তাকে ।
এটাই আমাদের নিবিড় চাওয়া ।
ইতি …তোমার ভালোবাসা ।।