অবসর নেই-তাই তোমাদের কাছে যেতে পারি না>শক্তি চট্টোপাধ্যায় [abosor nei -tai tomader kachhe jete pari na>sakti chattapaddhay

তোমাকে একটা গাছের কাছে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দেবো
সারা জীবন তুমি তার পাতা গুনতে ব্যস্ত থাকবে
সংসারের কাজ তোমার কম-‘অবসর আছে’ বলেছিলে একদিন
অবসর আছে-তাই আসি’।

একবার ওই গাছে একটা পাখি এসে বসেছিল
আকাশ মাতিয়ে, বাতাসে ডুব সাঁতার দিয়ে সামান্য নীল পাখি
তার ডানার মন্তব্য আর কাগজ- কলম নিয়ে বসেছিল
“হ্যাঁ আমি তার লেখাও পেয়েছি’।

কচিত কখনো ঐ পথে পথিক যায়
আমায় এসে বলে–বেশ নির্ঝঞ্ঝাট আছো তুমি যাহোক’।
আমার হিসাবনিকাশ, টানাপোড়েন, আমার সারাদিন
‘অবসর নেই-তাই তোমাদের কাছে যেতে পারি না’।

সন্ধ্যে হয়, ইস্টিশনের কোমরের আকন্দ ফুলগুলো ফুলে ওঠে
আমার কষ্ট হয় কেমন।
আকুন্দ-র নাকছাবি তোমায় মানাতো বেশ
‘পাতার একটা থোক হিসেব পাঠাতে তৎপর হয়ো–
তাছাড়া, কম দিন তো হলো না তুমি গেছো!’

দুপুর রাতের কথা তোমাদের কিছু কানে গেছে
জ্যোৎস্নায় গাছের ভিতরে পা ছড়িয়ে বস তুমি
‘গত মাসে একটা রান্নাঘর তৈরি হবার কথা জানিয়েছিলে
হোটেলের ভাত- ডাল তাহলে আর তেমন পুষ্টিকর নয়?’

জীবনে হেমন্তেই তুমি ছুটি পাবে–
“পুরীতেও যেতে পারো–
ফিরতে পথে ভুবনেশ্বরটাও দেখে এসো,
আবার কবে যাও না- যাও ঠিক নেই–“
আমার হিসাবনিকাশ টানাপোড়েন, আমার সারাদিন
অবসর নেই–তাই তোমাদের কাছে যেতে পারি না।”