কথোপকথন/১১-পূর্ণেন্দু পত্রী [kathopokathan/11-purnendu patri]

—তুমি আজকাল বড় সিগারেট খাচ্ছ শুভঙ্কর ।

—এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি ।

কিন্তু তার বদলে ?

—বড্ড হ্যাংলা । যেন খাওনি কখনো ?

—খেয়েছি !

কিন্তু আমার খিদের কাছে সেসব নস্যি।

এই কলকাতাকে এক খাবলায় চিবিয়ে খেতে পারি আমি।

আকাশটাকে ওমলেটের মতো চিরে চিরে

নক্ষত্রগুলোকে চিনেবাদামের মতো টুকটাক করে

পাহাড়গুলোকে পাঁপর ভাজার মতো মড়মড়িয়ে

আর গঙ্গা ?

সে তো এক গ্লাস সরবত।

—থাক । খুব বীরপুরুষ ।

—সত্যি তাই।

পৃথিবীর কাছে আমি এই রকমই ভয়ঙকর বিস্ফোরণ ।

কেবল তোমার কাছে এলেই দুধের বালক

কেবল তোমার কাছে এলেই ফুটপাতের নুলো ভিখারি

এক পয়সা,আধ পয়সা কিংবা এক টুকরো পাউরুটির বেশি

আর কিছু ছিনিয়ে নিতে পারি না ।

—মিথ্যুক।

—কেন ?

—সেদিন আমার সর্বাঙ্গের শাড়ি ধরে টান মারনি ?

—হতে পারে ।

ভিখারিদের কি ডাকাত হতে ইচ্ছে করবেনা একদিনও ?