—তোমাদের ওখানে এখন লোডশেডিং কী রকম ?
—বোলো না। দিন নেই, রাত নেই,জ্বালিয়ে মারছে।
—তুমি তখন কী করো ?
—দরজা খুলে দিই।
জানালা খুলে দিই।
পর্দা খুলে দিই।
আজকাল হাওয়াও হয়েছে তেমনি ফন্দিবাজ
যেমনি অন্ধকার ,অমনি মানুষের ত্রিসীমানা ছেড়ে দৌড়।
—তুমি তখন কি করো ?
—গায়ে জামা-কাপড় রাখতে পারি না ।
সব খুলে দিই,
চোখের চশমা ,চুলের বিনুনি ,বুকের আঁচল ,লাজ-লজ্জা সব।
–টাকা থাকলে তোমার নামে নতুন ঘাট বাঁধিয়ে দিতুম কাশী মিত্তিরে
এমন তোমার উথাল-পাতাল দয়া।
তুমি অন্ধকারকে সর্বস্ব ,সব অগ্নিস্ফুলিঙ্গ খুলে দিতে পার কত সহজে ।
আর শুভঙ্কর মেঘের মতো একটু ঝুঁকলেই
কী হচ্ছে কি ?
শুভঙ্কর তার খিদে-তেষ্টার ডালপালা নাড়লেই
কী হচ্ছে কি ?
শুভঙ্কর রোদে-পোড়া হরিণের জিভ নাড়লেই
কী হচ্ছে কি ?
পরের জন্মে দশদিগন্তের অন্ধকার হবো আমি।।