“কেন এ হিংসা-দ্বেষ,কেন এ ছদ্মবেশ”//কবিগুরুর চেতনায় মঞ্চসংকলন-পিয়ালী দাসঅধিকারী


শতাব্দীর সূর্য আজি রক্তমেঘ মাঝে
অস্ত গেল,হিংসার উৎসবে আজি বাজে
অস্ত্রে অস্ত্রে মরনের উন্মাদ রাগিনী
ভয়ংকরী, দয়াহীন সভ্যতা নাগিনী
তুলিছে কুটিল ফনা চক্ষের নিমিষে
গুপ্ত বিষদন্ত তার ভড়ি তীব্র বিষে।।

  সারা বিশ্বে আজ মহাভয় উদ্যত হয়ে আছে, হিংসা-বিদ্বেষ সন্ত্রাস যুদ্ধের আগ্রাসনে।

মানুষ মানুষকে আবিশ্ব নির্বিচারে হত্যা করছে, দুঃখ দিচ্ছে ক্ষমতালোভে ঐশ্বর্যগর্বে–

    সন্ত্রাস হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ সাম্প্রদায়িক অসম্প্রীতি যখন সভ্যতার ভিত্তিকে তলিয়ে দিয়ে মানবতার গায়ে পেরেক ঠুকে অশান্তির আগুনকে রাখে অনির্বাণ, তখনই মনে হয় কবিগুরুর কথায় --"কেন এ হিংসা দেশ কেন এ ছদ্মবেশ?"

এই সময় দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে অপরিহার্য। আমাদের আশ্রয় ।তারই ভাষায় গানে এ অসহায় বেদনার বাণী প্রকাশ করতে হয়। আত্মস্থ হতে হয় আমাদের।

গান+ নৃত্য ( সমবেত): তুমি আছো বিশ্বনাথ অসীম রহস্য মাঝে
নীরবে একাকী আপন মহিমা নিলয়ে।।
মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল মাঝে
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে।।
অনন্ত এ দেশকালে, অগণ্য এ দীপ্ত লোকে,
তুমি আছো মোরে চাহি–আমি চাহি তোমা পানে।
স্তব্ধ সর্ব কোলাহল, শান্তিমগ্ন চরাচর–
এক তুমি, তোমা -মাঝে আমি একা নির্ভয়ে।।

কবিগুরুও একসময় এই হিংসা হানাহানির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন ।বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, জালিনওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড, হিজলি হত্যাকাণ্ডের দুঃখ অপমান তিনি মেনে নিতে পারেননি। চোখের সামনে মানবতার বিনাশ দেখে তিনি সোচ্চার হয়েছিলেন। প্রশ্ন তোলেন–

[ছেলেদের নৃত্য ( রাবীন্দ্রিক);( কবিতার সাথে)]:
” আমি যে দেখেছি গোপন হিংসা
কপোটরাত্রি ছায়ে
হেনেছে নিঃসহায়ে।
আমি যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তির অপরাধে,
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।
আমি যে দেখিনু তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে
কি যন্ত্রণায় মরেছে পাথরে নিষ্ফল মাথা কুটে।

কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে,
বাঁশি সংগীত হারা ,অমাবস্যার কারা।
লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তলে
তাইতো তোমায় শুধাই অশ্রুজলে-
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ,
তুমি কি বেসেছ ভালো?”।।

এই হিংসা শোষন-বঞ্চনার মর্মভেদী ছবিও আমরা কবিগুরুর রক্তকরবী নাটকে দেখতে পাই ।সেখানে মানবতার হাত ধরেই হিংসা দানবীয়তার অবসান ঘটে—

নৃত্য -নাট্য
নন্দিনী: ওগো একটু থাম, বলে যাও রঞ্জন কোথায়।
প্রথম: শোনো বলি, লগ্ন হয়ে এসেছে, ধ্বজা পূজায় রাজাকে বেরোতেই হবে। তাকে জিজ্ঞাসা কর। আমরা শুরুটা জানি, শেষটা জানিনে। ( প্রস্থান)
নন্দিনী: (জানলায় ঘা দিয়ে), সময় হয়েছে দরজা খোলো।
নেপথ্যে রাজা: আবার এসেছ অসময়ে। এখনি যাও, যাও তুমি।
নন্দিনী: অপেক্ষা করবার সময় নেই, শুনতেই হবে আমার কথা।
নেপথ্যে: কি বলবার আছে বাইরে থেকে বলে চলে যাও।
নন্দিনী: বাইরে থেকে কথার সুর তোমার কানে পৌঁছয় না।
নেপথ্যে: আজ ধ্বজাপূজা ,আমার মন বিক্ষিপ্ত করোনা ,পূজার ব্যাঘাত হবে। যাও, যাও! এখনই যাও।
নন্দিনী: আমার ভয় ঘুচে গেছে ।অমন করে তাড়াতে পারবে না ।মরি সেও ভালো, দরজা না খুলিয়ে নড়বো না।
নেপথ্যে: রঞ্জনকে চাও বুঝি? সর্দার কে বলে দিয়েছি ,এখনই তাকে এনে দেবে ।পুজোয় যাবার সময় দরজায় দাঁড়িয়ে থেকো না, বিপদ ঘটবে।
নন্দিনী: দেবতার সময়ের অভাব নেই, পুজোর জন্য যুগযুগান্তর অপেক্ষা করতে পারেন। মানুষের দুঃখ মানুষের নাগাল চায় যে, তার সময় অল্প।
নেপথ্যে: আমি ক্লান্ত ,ভারি ক্লান্ত, ধ্বজা পূজায় অবসাদ ঘুঁচিয়ে আসব। আমাকে দুর্বল কোরো না ।এখন বাঁধা দিলে রথের চাকায় গুঁড়িয়ে যাবে।
নন্দিনী: বুকের উপর দিয়ে চাকা চলে যাক্ নড়ব না।
নেপথ্যে: নন্দিনী আমার কাছ থেকে তুমি প্রশ্রয় পেয়েছ ,তাই ভয় করো না। আজ ভয় করতেই হবে।
নন্দিনী: আমি চাই সবাইকে যেমন ভয় দেখিয়ে বেড়াও ,আমাকেও তেমনি ভয় দেখাবে ।তোমার প্রশ্রয় কে ঘৃণা করি।
নেপথ্যে: ঘৃণা করো? স্পর্ধা চূর্ণ করব ।আমাকে আমার পরিচয় দেবার সময় এসেছে।
নন্দিনী: পরিচয়ের অপেক্ষাতেই আছি, খোলো দ্বার।

(নৃত্য নাট্য শুরু): ( দ্বার উদঘাটন): ওকি! ঐ কে প’ড়ে ,রঞ্জনের মত দেখছি যেন!
রাজা: কি বললে, রঞ্জন? কখনোই রঞ্জন নয়।
নন্দিনী: হ্যাঁ গো, এইতো আমার রঞ্জন।।
রাজা: ও কেন বললে না ওর নাম ।কেন এমন স্পর্ধা করে এলো।
নন্দিনী: জাগো রঞ্জন, আমি এসেছি তোমার সখি। রাজা ও জাগে না কেন?
রাজা: ঠকিয়েছে, আমাকে ঠকিয়েছে এরা। সর্বনাশ! আমার নিজের যন্ত্র আমাকে মানছে না। ডাক তোরা। সরদার কে ডেকে আন, বেঁধে নিয়ে আয় তাকে।
নন্দিনী: রাজা রঞ্জন কে জাগিয়ে দাও। সবাই বলে তুমি জাদু জানো, ওকে জাগিয়ে দাও।
রাজা: আমি যমের কাছে জাদু শিখেছি, জাগাতে পারিনে, জাগরণ ঘুঁচিয়ে দিতেই পারি।


নন্দিনী: তবে আমাকে ওই ঘুমেই ঘুম পাড়াও। আমি সইতে পারছি নে। কেন এমন সর্বনাশ করলে!?
রাজা: আমি যৌবনকে মেরেছি– এতদিন ধরে আমি সমস্ত শক্তি দিয়ে কেবল যৌবনকে মেরেছি। মরা যৌবনের অভিশাপ আমাতে লেগেছে।
নন্দিনী: ও কি আমার নাম বলেনি?
রাজা: এমন করে বলেছিল ,সে আমি সইতে পারিনি। হঠাৎ আমার নারীতে নারীতে যেন আগুন জ্বলে উঠলো।
নন্দিনী: (রঞ্জনের প্রতি): বীর আমার, নীলকন্ঠ পাখির পালক এই পড়িয়ে দিলুম তোমার চূড়ায় ।তোমার জয়যাত্রা আজ হতে শুরু হয়েছে। সেই যাত্রার বাহন আমি। -আহা ,এই যে ওর হাতে সেই আমার রক্তকরবীর মঞ্জুরি। তবে তো কিশোর ওকে দেখেছিল। সে কোথায় গেল ।রাজা, কোথায় সেই বালক?
রাজা: কোন বালক?
নন্দিনী: যে বালক এই ফুলের মঞ্জুরী রঞ্জন কে এনে দিয়েছিল।
রাজা: সে যে অদ্ভুত ছেলে। বালিকার মত তার কচি মুখ ,কিন্তু উদ্ধত তার বাক্য। সে স্পর্ধা কোরে আমাকে আক্রমণ করতে এসেছিল।
নন্দিনী: তারপরে কি হলো তার? বলো, কি হলো? বলতেই হবে,চুপ করে থেকো না।
রাজা: বুদবুদের মত সে লুপ্ত হয়ে গেছে।
নন্দিনী: রাজা এইবার সময় হল।
রাজা: কিসের সময়?
নন্দিনী: আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমার সঙ্গে আমার লড়াই।
রাজা: আমার সঙ্গে লড়াই করবে তুমি? তোমাকে যে এই মুহূর্তেই মেরে ফেলতে পারি।
নন্দিনী: তারপর থেকে মুহূর্তে মুহূর্তে আমার সেই মরা তোমাকে মারবে, আমার অস্ত্র নেই আমার অস্ত্র মৃত্যু।
রাজা: তাহলে কাছে এসো, সাহস আছে আমাকে বিশ্বাস করতে? চলো আমার সঙ্গে। আজ আমাকে তোমার সাথী করো, নন্দিনী!
নন্দিনী: কোথায় যাব?
রাজা: আমার বিরুদ্ধে লড়াই করতে কিন্তু আমারই হাতে হাত রেখে। বুঝতে পারছ সেই লড়াই শুরু হয়েছে ।এই আমার ধ্বজা,আমি ভেঙে ফেলি ওর দন্ড। তুমি ছিঁড়ে ফেলো ওর কেতন। আমারই হাতের মধ্যে তোমার হাত এসে আমাকে মারুক, মারুক সম্পূর্ণ মারুক, তাতেই আমার মুক্তি।
রাজার নাচ (গান): ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে।
আমার মুক্তি ধুলায় ধুলায় ঘাসে ঘাসে।
দেহ মনের সুদূর পারে হারিয়ে ফেলি আপনারে।
গানের সুরে আমার মুক্তি ঊর্ধ্বে ভাসে।
আমার মুক্তি সর্বজনের মনের মাঝে।
দুঃখ বিপদ তুচ্ছ করা কঠিন কাজে
বিশ্বধাতার যোগ্যশালা আত্মহোমের বহ্নি জ্বালা–
জীবন যেন দিই আহুতি মুক্তি আসে।।

হ্যাঁ মুক্তি এই মানবতার হাত ধরেই আমাদের সমাজের, দেশের, বিশ্বের কালিমা মুক্ত করতে হবে। নিজের গণ্ডি থেকে দেশের গন্ডী, দেশ থেকে গণ্ডিহীন পৃথিবীর উদারলোকে গমন মুখী আমাদের প্রার্থনা-
(গান+ নৃত্য সমবেত): “আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া,
বুকের মাঝে বিশ্ব লোকের পাবি সাড়া।
এই যে বিপুল ঢেউ লেগেছে
তোর মাঝেতে উঠুক নেচে
সকল পরান দিক না নাড়া।।
বোস না ভ্রমর এই নীলিমায় আসন লয়ে
অরুণ আলোর স্বর্ণরেণু মাখা হয়ে।
যেখানেতে অগাধ ছুটি
মেল সেথা তোর ডানা দুটি,
সবার মাঝে পাবি ছাড়া।।

কবি আবার কখন বলছেন বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধের কথা। ঘরের গণ্ডি থেকে ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের শিখরে ওঠো। সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমার। অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময় লোভিব মুক্তির স্বাদ।

(:গান+ নাচ ছেলেমেয়ে): “বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো
সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও।।
নয়কো বনে, নয় বিজনে নয়কো আমার আপন মনে।
সবার যেথায় আপন তুমি হে প্রিয়
সেথায় আপন আমারও।
সবার পানে যেথায় বাহু পসারো
সেইখানেতেই প্রেম জাগিবে আমারও।
গোপনে প্রেম রয়না ঘরে
আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ে-
সবার তুমি আনন্দধন হে প্রিয়,
আনন্দ সেই আমারও।।

এই ভুবনব্যাপী বিস্তারের মধ্যেই কবি নিজেকে মিলিয়ে দিতে চেয়েছেন।–‘ভুবন বীণার সকল সুরে আমার হৃদয় পরান দাওনা পুরে’ । এই বিশ্বচেতনা বিশ্ববোধে লুপ্ত হয়ে যাবে আমাদের দুঃখ নিরবতা সংকট বিপন্নতা সংশয়–

(নাচ+ গান): ভুবন জোড়া আসনখানি
আমার হৃদয় মাঝে বিছাও আমি।।
রাতের তারা ,দিনের রবি, আঁধার আলোর সকল ছবি।
তোমার আকাশ ভরা সকল বাণী-
আমার হৃদয় মাঝে বিছাও আনি।।
ভুবন বীণার সকল সুরে
আমার হৃদয় পরান দাও না পুরে।
দুঃখ সুখের সকল হরষ, ফুলের পরশ ,ঝড়ের পরশ–
তোমার করুন শুভ উদারপানি
আমার হৃদয় মাঝে দিক না আনি।।

হিংস্রতা আজ নিত্য সঙ্গী, মিথ্যা প্রতিমুহূর্তের আচরণ। তাহলে কি অন্ধকারে নিমজ্জনই আমাদের ভাগ্য? বিশ্ব সভ্যতার পরিনাম? না, কবি বিশ্বাস করতেন ভগবান বুদ্ধের দক্ষিণ হস্তের কলাস্পর্শে ধরণীর গ্লানি দূরীভূত হবে।
পৃথিবী আবার সূচি শুভ্র হবে। আজ আমরাও উঠে আসতে পারি কবিগুরুর হাত ধরে। যিনি আমাদের সকল বয়সের বন্ধু ও আশ্রয়। তার গানে শান্তি কামিনী নিখিল মানবের ক্রন্দন ধ্বনি, যেন আমরা শুনতে পাই–
(কবিতা +একক নৃত্য): হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব;
ঘোর কুটিল পন্থ তার, লোভ জটিল বন্ধ।।
নতুন তব জন্ম লাগি কাতর যত প্রাণী-


কর’ ত্রাণ মহাপ্রাণ, আন’ অমৃত বাণী,
বিকশিত কর’ প্রেমপদ্ম চিরমধুনিষ্যন্দ।
শান্ত হে ,মুক্ত হে , হে অনন্ত পূণ্য,
করুণাঘন ধরনিতল কর’ কলঙ্ক শূন্য।।
এসো দানবীর দাও ত্যাগে কঠিন দীক্ষা।
মহাভিক্ষু লও সবার অহংকার ভিক্ষা।
লোক লোক ভুলুক শোক, খন্ডন কর’ মোহ,
উজ্জ্বল হোক জ্ঞানসূর্য– উদয় সমারোহ-
প্রাণ লভুক সকল ভুবন, নয়ন লভুক অন্ধ।
শান্ত হে ,মুক্ত হে , হে অনন্তপুণ্য,
করুণাঘন ধরনিতল কর ‘কলঙ্ক শূন্য।
ক্রন্দনময় নিখিল হৃদয় তাপদহনদীপ্ত
বিষয়বিষবিকার জীর্ণ খিন্ন অপরিতৃপ্ত।
দেশ দেশ পারিল তিলক রক্তকলুস গ্লানি,
তব মঙ্গলশঙ্খ আন’ তব দক্ষিণপানি-
তব শুভসংগীতরাগ তব সুন্দর ছন্দ।
শান্ত হে ,মুক্ত হে , হে অনন্ত পূণ্য,
করুণাঘন ধরনিতল কর’ কলঙ্কশূন্য।।

ভারত বর্ষ শত শত শতাব্দী ব্যাপী যে ভাবধারা বহন করে আসছে, তার মূলে আছে সহনশীলতার আদর্শ। বর্তমানে বিশ্ব মানব সমাজের জন্য বৈদিক যুগ থেকে ভারতের সেই প্রচেষ্টা তথা অহিংসা ও শান্তির বার্তা আজ প্রয়োজন। তাই আমাদের প্রার্থনা–
“”দাও আমাদের অভয় মন্ত্র,
অশোক মন্ত্র তব,
দাও আমাদের অমৃত মন্ত্র
দাও গো জীবন নব।
মৃত্যুতরণ শঙ্কাহরণ
দাও সে মন্ত্র তব।।”
–শুরু হোক বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি।

(সমবেত নৃত্য গান হাতে হাত ধরে): বরিষধ ধরা মাঝে শান্তির বারি
শুষ্ক হৃদয় লয়ে আছে দাড়াইয়ে
ঊর্ধ্বমুখে নরনারী…..
…… জয় জয় হোক তোমারি।।

      ।। নমস্কার।।