”কাল থেকে ঠিক পাল্টে যাব
দেখে রাখিস তোরা ,”
বলতে-বলতে ঘুমিয়ে পড়ল অশ্বমেধের ঘোড়া
পথের মধ্যিখানে ।।
ভেবেছিলুম, যে দিকে যাই, জ্বালতে-জ্বালতে যাব
শহর-গঞ্জ কারখানা-কল, কিন্তু এখন প্রাণে
অন্যরকম ভুজুং দিচ্ছে অন্যরকম হাওয়া ।
”এই নে , তোকে দিলুম বাড়ি, নতুন খড়ে ছাওয়া,
দিলুম আগরতলার শীতলপাটি ।
কৃষ্ণা গাভীর দুগ্ধ দিলুম,বড্ডরকম মিঠে,
এবং সোঁদরবনের মধু,চোদ্দো-আনা খাঁটি ।”
শুনেই আমি চমকে উঠি,পথের শক্ত ইঁটে
লাথি কষাই, হাওয়ার মধ্যে কোড়া
ঘুরিয়ে বলি, ”আয় রে আমার অশ্বমেধের ঘোড়া ;
আয়,যেরকম কথা ছিল, তেমনি করে বাঁচি ।”
তেমনি করে কেউ বাঁচে না, নেই -কুসুমের তোড়া
কেউ বাঁধে না,কোত্থেকে জল কোথায় চলে যাচ্ছে ।
নজর করলে দেখতে পাবি,রক্ত শুষে খাচ্ছে
অশ্বমেধের ঘোড়ার পিঠে রাক্ষুসে এক মাছি ।।
(বৈশাখ,১৩৮২ )