দীপ্ত অভিমান //অমিতাভ দাস অধিকারী

নও তুমি বন্ধু—-

হও শত্রু, অথবা চরম মিত্র,

বন্ধুত্বের গরল আমারে দিও না,

সে তুমি বিলাও অন্য কাহারে;

সে গরল গলাদ্ধকরন

আমার সাধ্যাতীত ।

ঘৃণা,উপেক্ষা,অপমান

ঝরুক আমার প্রতি ।

সেই আমার শান্তি

চরম প্রাপ্তি ।

যদি জন্মান্তর সত্য হয়

তবে যুগান্তরও সত্য ।

যদি ধর্ম সত্য হয়

তবে জাতিও সত্য ।

যদি রাজা সত্য হয়

তবে প্রজাও সত্য ।

যেদিন ব্যবধান যাবে ঘুচে

সেদিন আমি

অমানুষ থেকে মানুষ হব ।

তোমার ঘৃণার দহনে

আসুক সেই যুগান্তর

আমার তৃণে আসুক নবাঙ্কুর ।

সম্ভাবনার আশ্বাস ,

রিন্ রিন্ শব্দ ধ্বনিত হোক ,

আমার চারিপাশ ;

প্রশ্ন আছে ? —উত্তর নেই !

পদ্মের মাতৃহৃদয় কি

লাঞ্ছিত হয় ‘পঙ্কজ’ নামে ?

দেবতার পাদপদ্মে শুধুই ইন্দিবরের স্থান–ইন্দিবর–

পঙ্কজের কি নয় ? —-শ্বেতবর্ণ পদ্ম ।

একলব্যের অস্ত্রসাধনা কি

সাধনা নয় ?

কেন সে রইল পড়ে

নিষ্ফল আর হতাশের দলে ?

ঐক্য সত্য নয়

বিভেদই সত্য ।

মানুষ সত্য নয়

জাতিই সত্য ।

রাজ্য সত্য নয়

রাজাই সত্য ।

অমৃত সত্য নয়

গরলই সত্য ।

মিলন সত্য নয়

বিচ্ছেদই সত্য ।

তাই চাই না বন্ধুত্ব

উপেক্ষার বৃশ্চিক দংশাক

সারা দেহে আমার ।

নীলকন্ঠ না হতে পারি

নীলদেহীতো হব ।।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *