বেলা- শেষে উদাস পথিক ভাবে
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে–
উদাস পথিক ভাবে।
‘ঘরে এস’, সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই ব’সে থাকে,
জানেনা সে– কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।
বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে–
উদাস পথিক ভাবে।
বাতি আনে রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায়ে গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।
হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন ধাঁধার আঁধার বাধা কারায়,
পথ -চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়,
আর কি পুবের পথের দেখা পাবে-
উদাস পথিক ভাবে।।
( দোলন- চাঁপা)