মা তোমার আজ নেমন্তন্ন,খুকির আমার বিয়ে ,
নেমন্তন্ন রাখবে তো মা বাবার সঙ্গে গিয়ে ?
বলতে তোমায় পাইনি সময় যেদিন পাকা দেখা
ক’দিক বলো সামলাবো আর? আমি মানুষ একা ।
মেয়ে -বিয়ের হাঙ্গামাটা তুচ্ছ ব্যাপার কি মা ?
ঝামেলা তার বহু রকম নেই খাটুনির সীমা।
যেই দিকে না নজর দেব সেই দিকে গোলমাল,
সময় পেলে ঠিকই তোমায় বলে যেতাম কাল।
যাদের বাড়ি যেতে পার বিনা নিমন্ত্রনে,
ত্রুটি তাদের ধ’রে মাগো রাগ রেখো না মনে ।
খাওয়া-দাওয়ায় রাত হবে না ,সাঁঝ লগনেই বিয়ে,
রকমফের এ রান্নাবাড়ি ইঁটের গুঁড়ো দিয়ে।
কোথায় খুকুর দিচ্ছি বিয়ে ? বলছি ,শোন তুমি ,
ছেলের মা যে বন্ধু আমার পাশের বাড়ির’ ঊর্মি’।
উঁচু দরের কুলীন ছেলে বংশ এদের খাসা
এমন পাত্রে পড়বে খুঁকি ছিল না সেই আশা ।
দাবি-দাওয়ার কথা শুনেই পেছপা ছিলাম আমি ,
কোথায় পাবো এত খরচ ,জিনিস দামী দামী।
ঊর্মির চাপেই বাধ্য হয়ে ছাড়লো দাবি-দাওয়া,
এমন বেয়ান বলো না মা কোথায় যাবে পাওয়া ?
সেই পণেতেই রাজি এখন, হাজারটি কাঁইবিচি,
নিজের দোষেই বেয়াই মশাই নাকাল মিছামিছি ।
বেয়ান আমার খুব ভালো মা,দেখবে আলাপ হলে ,
এতো কমেই পাত্র পেলাম ছেলে ঊর্মির বলে ।
এমনি কুটুম ভাগ্যে পাওয়া ক’জন লোকের হয়?
মেয়ে আমার থাকবে সুখে নেই তাতে সংশয়।।