ভোরের আগের যে প্রহরে
স্তব্ধ অন্ধকার –‘ পরে
সুপ্তি-অন্তরাল হতে দূর সূর্যোদয়
বনময়
পাঠায় নূতন জাগরনী,
অতি মৃদু শিহরনী
বাতাসের গায়ে ;
পাখির কুলায়ে
অস্পষ্ট কাকলি ওঠে আধোজাগা স্বরে,
স্তম্ভিত আগ্রহ ভরে
অব্যক্ত বিরাট আশা ধ্যানে মগ্ন দিকে দিগন্তরে
ও কোন তরুন প্রানে করিয়াছে ভর,
অন্তর্গূঢ় সে প্রহর
আত্ম-অগোচর ।
চিত্ত তার আপনার গভীর অন্তরে
নিঃশব্দে প্রতীক্ষা করে
পরিপুর্ণ সার্থকতা লাগি ।
সুপ্তি-মাঝে প্রতীক্ষিয়া আছে জাগি
নির্মল নির্ভয়
কোন্ দিব্য অভ্যুদয় ।
কোন্ সে পরমা মুক্তি,কোন সেই আপনার
দীপ্যমান মহা আবিস্কার ।
প্রভাত মহিমা ওর সম্বৃত রয়েছে নিশ্চেতনে,
তাহারি আভাস পাই মনে ।
আমি ওই রথশব্দ শুনি,
সোনার বীনার তারে সংগীত আনিছে কোন্ গুণী ।
জাগিবে হৃদয় ,
ভুবন তাহার হবে বাণীময় ;
মানসকমল একমনা
নবোদিত তপনের করিবে প্রথম অভ্যর্থনা ।
জাগিবে নূতন দিবা উজ্জ্বল উল্লাসে
বর্ণে গন্ধে গানে প্রাণে মহোৎসবে তার চারিপাশে ।
নিরুদ্ধ চেতনা হবে হব চ্যুত
লালসা-আবেশে জড়ীভূত
স্বপ্নের শৃঙ্খল পাশ ।
বিলুপ্ত করিবে দূরে উন্মুক্ত বাতাস
দূর্বল দীপের গাঢ় বিষতপ্ত কলুষনিশ্বাস ।
আলোকের জয়ধ্বনি উঠিবে উচ্ছ্বসি—
নাম কি ঊষসী ।।