একটি মোরগ হঠাৎ আশ্রয় পেয়ে গেল
বিরাট প্রাসাদের ছোট্ট এক কোণে,
ভাঙা প্যাকিং বাক্সের গাদায়—
আরো দু’তিনটি মুরগীর সঙ্গে ।
আশ্রয় যদিও মিলল,
উপযুক্ত আহার মিলল না ।
সুতীক্ষ্ণ চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে
গলা ফাটাল সেই মোরগ
ভোর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত—
তবুও সহানুভূতি জানাল না সেই বিরাট শক্ত ইমারত ।
তারপর শুরু হল তার আঁস্তাকুড়ে আনাগোনা :
আশ্চর্য ! সেখানে প্রতিদিন মিলতে লাগল
ফেলে দেওয়া ভাত-রুটির চমৎকার প্রচুর খাবার !
তারপর একসময় আঁস্তাকুড়েও এল অংশীদার—
ময়লা ছেঁড়া ন্যাকড়া পরা দু’তিনটে মানুষ ;
কাজেই দুর্বলতর মোরগের খাবার গেল বন্ধ হয়ে ।
খাবার ! খাবার ! খানিকটা খাবার !
অসহায় মোরগ খাবারের সন্ধানে
বার বার চেষ্টা ক’রল প্রাসাদে ঢুকতে,
প্রত্যেকবারই তারা খেল প্রচন্ড ।
ছো্ট্ট মোরগ ঘাড় উঁচু করে স্বপ্ন দেখে–
”প্রাসাদের ভেতর রাশি রাশি খাবার” ।
তারপর সত্যিই সে একদিন প্রাসাদে ঢুকতে পেল,
একেবারে সোজা চলে এল
ধবধবে সাদা দামী কাপড়ে ঢাকা খাবার টেবিলে ;
অবশ্য খাবার খেতে নয়–
খাবার হিসেবে ।।