কারার ঐ লৌহ-কবাট ভেঙে ফেল্ কররে লোপাট
রক্ত-জমাট শিকল-পূজোর পাষাণ-বেদী ।
ওরে ও তরুণ ঈশান ! বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ ।
ধ্বংস-নিশান উড়ুক প্রাচী’র প্রাচীর ভেদি’ ।।
গাজনের বাজনা বাজা ! কে মালিক ? কে সে রাজা ?
কে দেয় সাজা, মুক্ত স্বাধীন সত্য কে রে ?
হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান পরবে ফাঁসি ?
সর্বনাশী শিখায় এ হীন তথ্য কে রে ?
ওরে ও পাগলা ভোলা , দে রে দে প্রলয়-দোলা
গারদগুলা জোরসে ধ’রে হেঁচকা টানে !
মার্ হাঁক হৈদরী হাঁক, কাধেঁ নে দুন্দুভি ঢাক,
ডাক্ ওরে ডাক্ মৃত্যুকে ডাক্ জীবন পানে !
নাচে ঐ কাল-বোশেখী, কাটাবি কাল ব’সে কি ?
দে রে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি’ ।
লাথি মার , ভাঙ রে তালা ! যত সব বন্দী-শালায়
আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা, ফেল্ উপাড়ি’ ।।



