chhayanot

শিউলি ফুল শিউলি ফুল-রবীন্দ্রসংগীত (প্রকৃতি পর্যায়,দাদরা তাল,স্বরবিতান-৩ )

শিউলি ফুল,শিউলি ফুল, কেমন ভুল, এমন ভুল ।। রাতের বায় কোন্ মায়ায় আনিল হায় বনছায়ায়, ভোরবেলায় বারে বারেই ফিরিবারে হলি ব্যাকুল ।। কেন রে তুই উন্মনা ! নয়নে তোর হিমকণা । কোন্ ভাষায় চাস বিদায় , গন্ধ তোর কী জানায়— সঙ্গে হায় পলে পলেই দলে দলে যায় বকুল ।।

ক্ষত যত ক্ষতি যত-রবীন্দ্রসংগীত (পূজা পর্যায়,কাহার্বা তাল,স্বরবিতান-৩)

ক্ষত যত ক্ষতি যত মিছে হতে মিছে, নিমেষের কুশাঙ্কুর পড়ে রবে নীচে ।। কী হল না, কী পেলে না, কে তব শোধে নি দেনা সে সকলই মরীচিকা মিলাইবে পিছে ।। এই-যে হেরিলে চোখে অপরুপ ছবি অরুণ গগনতলে প্রভাতের রবি— এই তো পরম দান সফল করিল প্রাণ, সত্যের আনন্দরূপ এই তো জাগিছে ।।

সেই ভালো সেই ভালো-রবীন্দ্রসংগীত (প্রেম-পর্যায়,দাদরা তাল,স্বরবিতান-৩ )

সেই ভালো সেই ভলো, আমারে নাহয় না জানো । দূরে গিয়ে নয় দুঃখ দেবে, কাছে কেন লাজে লাজানো ।। মোর বসন্তে লেগেছে তো সুর, বেণুবনছায়া হয়েছে মধুর– থাক্ না এমনি গন্ধে-বিধুর, মিলনকুঞ্জ সাজানো ।। গোপনে দেখেছি তোমার ব্যাকুল নয়নে ভাবের খেলা । উতল আঁচল, এলোথেলো চুল, দেখেছি ঝড়ের বেলা । তোমাতে আমাতে হয়নি যে কথা …

সেই ভালো সেই ভালো-রবীন্দ্রসংগীত (প্রেম-পর্যায়,দাদরা তাল,স্বরবিতান-৩ ) Read More »

ব্ল্যাক মার্কেট-সুকান্ত ভট্টাচার্য

হাত করে মহাজন, হাত করে জোতদার, ব্ল্যাক-মার্কেট করে ধনী রাম পোদ্দার, গরীব চাষীকে মেরে হাতখানা পাকালো বালিগঞ্জেতে বাড়ি খান ছয় হাঁকালো । কেউ নেই ত্রিভুবনে , নেই কিছু অভাবও তবু ছাড়ল না তার লোক-মারা স্বভাবও । একা থাকে , তাই হরি চাকরটা রক্ষী ত্রিসীমানা মাড়ায় না তাই কাক-পক্ষী । বিশ্বে কাউকে রাম কাছে পেতে চান …

ব্ল্যাক মার্কেট-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

ছাড়পত্র-সুকান্ত ভট্টাচার্য

যে শিশু ভূমিষ্ট হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুম : সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক, নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে । খর্বদেহ নিঃসহায়,তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত উত্তোলিত, উদ্ভাসিত কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায় । সে ভাষা বোঝেনা কেউ, কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার । আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি সে …

ছাড়পত্র-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

একটি মোরগের কাহিনী-সুকান্ত ভট্টাচার্য

একটি মোরগ হঠাৎ আশ্রয় পেয়ে গেল বিরাট প্রাসাদের ছোট্ট এক কোণে, ভাঙা প্যাকিং বাক্সের গাদায়— আরো দু’তিনটি মুরগীর সঙ্গে । আশ্রয় যদিও মিলল, উপযুক্ত আহার মিলল না । সুতীক্ষ্ণ চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে গলা ফাটাল সেই মোরগ ভোর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত— তবুও সহানুভূতি জানাল না সেই বিরাট শক্ত ইমারত । তারপর শুরু হল তার আঁস্তাকুড়ে আনাগোনা …

একটি মোরগের কাহিনী-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

চিল-সুকান্ত ভট্টাচার্য

পথ চলতে চলতে হঠাৎ দেখলাম : ফুটপাতে এক মরা চিল ! চমকে উঠলাম ওর করুণ বীভৎস মূর্তি দেখে । অনেক উঁচু থেকে যে এই পৃথিবীটাকে দেখেছে লুন্ঠনের অবাধ উপনিবেশ ; যার শ্যেন দৃষ্টিতে কেবল ছিল তীব্র লোভ আর ছোঁ মারার দস্যু প্রবৃত্তি— তাকে দেখলাম , ফুটপাতে মুখ গুঁজে প’ড়ে । গম্বুজ শিখরে বাস করত এই …

চিল-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

ছাড়পত্র-সুকান্ত ভট্টাচার্য

যে শিশু ভূমিষ্ট হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুম : সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক, নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে । খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত উত্তোলিত, উদ্ভাসিত কী এক দু্র্বোধ্য প্রতিজ্ঞায় । সে ভাষা বোঝেনা কেউ, কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার । আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি …

ছাড়পত্র-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

দেশলাই কাঠি-সুকান্ত ভট্টাচার্য

আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি এত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি না ; তবু জেনো মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ– বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস ; আমি একটা দেশলাইয়ের কাঠি । মনে আছে সেদিন হুলস্থুল বেধেছিল ? ঘরের কোণে জ্বলে উঠেছিল আগুন— আমাকে অবজ্ঞাভরে না-নিভিয়ে ছুঁড়ে ফেলায় ! কত ঘরকে দিয়েছি পুড়িয়ে, কত প্রাসাদকে করেছি …

দেশলাই কাঠি-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

টুনটুনি-প্রচলিত ছড়া

এক যে ছিল টুনটুনি থাকলে বেগুন গাছে, এমন সময় বেড়াল মাসি এলেন তারি কাছে (৩ বার লাফ) । টুনটুনি যে, আয়না কাছে একটু আলাপ করি , কথা বলার সঙ্গী নেই যে একলা ঘুরে মরি । টুনি বলে,মতলব তোর নয়কো ভালোবাসি, গেলেই কাছে ধরবি গলা এখন তবে আসি ।।