chhayanot

শাড়ি-সুবোধ সরকার

বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছটা এতো শাড়ি একসঙ্গে সে জীবনে দেখেনি । আলমারির প্রথম থাকে সে রাখলো সব নীল শাড়িদের হালকা নীল একটাকে জড়িয়ে ধরে বলল,তুই আমার আকাশ দ্বিতীয় থাকে রাখল সব গোলাপীদের একটা গোলাপীকে জড়িয়ে সে বলল, ” তোর নাম অভিমান ” তৃতীয় থাকে তিনটি ময়ূর ,যেন তিন দিক …

শাড়ি-সুবোধ সরকার Read More »

শেষের কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও । তারি রথ নিত্যই উধাও জাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন, চক্রে-পিষ্ট আঁধারের বক্ষফাটা তারার ক্রন্দন । ওগো বন্ধু, সেই ধাবমান কাল জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেরি তার জাল- তুলে নিল দ্রুতরথে দুঃসাহসী ভ্রমণের পথে তোমা হতে বহু দূরে । মনে হয়, অজস্র মৃত্যুরে পার হয়ে আসিলাম আজি নবপ্রভাতের শিখরচূড়ায়- রথের চঞ্চল বেগ …

শেষের কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Read More »

দীপ্ত অভিমান //অমিতাভ দাস অধিকারী

নও তুমি বন্ধু—- হও শত্রু, অথবা চরম মিত্র, বন্ধুত্বের গরল আমারে দিও না, সে তুমি বিলাও অন্য কাহারে; সে গরল গলাদ্ধকরন আমার সাধ্যাতীত । ঘৃণা,উপেক্ষা,অপমান ঝরুক আমার প্রতি । সেই আমার শান্তি চরম প্রাপ্তি । যদি জন্মান্তর সত্য হয় তবে যুগান্তরও সত্য । যদি ধর্ম সত্য হয় তবে জাতিও সত্য । যদি রাজা সত্য হয় …

দীপ্ত অভিমান //অমিতাভ দাস অধিকারী Read More »

কলঘরে চিলের কান্না //নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

এখনও তোমার সেই ডানা ঝাপটানোর শব্দ শুনতে পাই ; এখনও তোমার সেই দারুণ বিলাপ কানে বাজে । গগনবিহারী চিল, খর দীপ্র দুুপুরবেলায় তুমি এক আকাশের থেকে অন্য আকাশের দিকে তেজস্বী ও স্বভাবত-সঙ্গীহিন সম্রাটের মতো সহজ উল্লাসে বাতাসে সাঁতার কেটে চলেছিল । যেতে যেতে, শূন্যের মেঘলা থেকে যে-রকম উল্কা খসে যায়, তুমিও সহসা সেই রকম ঊর্ধাকাশ …

কলঘরে চিলের কান্না //নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী Read More »

ঘোড়া //নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

”কাল থেকে ঠিক পাল্টে যাব দেখে রাখিস তোরা ,” বলতে-বলতে ঘুমিয়ে পড়ল অশ্বমেধের ঘোড়া পথের মধ্যিখানে ।। ভেবেছিলুম, যে দিকে যাই, জ্বালতে-জ্বালতে যাব শহর-গঞ্জ কারখানা-কল, কিন্তু এখন প্রাণে অন্যরকম ভুজুং দিচ্ছে অন্যরকম হাওয়া । ”এই নে , তোকে দিলুম বাড়ি, নতুন খড়ে ছাওয়া, দিলুম আগরতলার শীতলপাটি । কৃষ্ণা গাভীর দুগ্ধ দিলুম,বড্ডরকম মিঠে, এবং সোঁদরবনের মধু,চোদ্দো-আনা …

ঘোড়া //নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী Read More »

ছড়া //সুচিত্রা মিত্র

শুনেছি, রেলগাড়িতে জন্মেছিলাম দুই পায়ে তাই চাকা সারাজীবন ছুটেই গেলাম হয়নি বসে থাকা । যাই যদি আজ উত্তরে ভাই কালকে যাব দক্ষিণে পশ্চিমে যাই দিনের বেলা রাত্তিরে ঘুরি পুবকে চিনে । হিল্লী দিল্লী স্বদেশ বিদেশ চক্করের আর নাই রে শেষ প্রাণটা বাঁচে চাকা দুটো কেউ যদি ভাই নেয় কিনে । প্রায়ই ভাবি আপন মনে ফুরোবে …

ছড়া //সুচিত্রা মিত্র Read More »

ঊষসী // রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( মহুয়া )

ভোরের আগের যে প্রহরে স্তব্ধ অন্ধকার –‘ পরে সুপ্তি-অন্তরাল হতে দূর সূর্যোদয় বনময় পাঠায় নূতন জাগরনী, অতি মৃদু শিহরনী বাতাসের গায়ে ; পাখির কুলায়ে অস্পষ্ট কাকলি ওঠে আধোজাগা স্বরে, স্তম্ভিত আগ্রহ ভরে অব্যক্ত বিরাট আশা ধ্যানে মগ্ন দিকে দিগন্তরে ও কোন তরুন প্রানে করিয়াছে ভর, অন্তর্গূঢ় সে প্রহর আত্ম-অগোচর । চিত্ত তার আপনার গভীর অন্তরে …

ঊষসী // রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( মহুয়া ) Read More »

পিয়ালী //রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মহুয়া )

চাহনি তাহার ,সব কোলাহল হ’লে সারা সন্ধ্যার তিমিরে ভাসা তারা । মৌনখানি সমধুর মিনতিরে লতায়ে লতায়ে যেন মনের চৌদিকে দেয় ঘিরে ; নির্বাক চাহিয়া থাকে, নাহি পায় ভেবে কেমন করিয়া কী-যে দেবে । দুয়ার বাহিরে আসে ধীরে, ক্ষনেক নীরব থেকে চ’লে যায় ফিরে । নাও যদি কয় কথা মনে যেন ভরি দেয় সুস্নিগ্ধ মমতা । …

পিয়ালী //রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মহুয়া ) Read More »

বোঝাপড়া //রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ক্ষনিকা,চতুর্থ খন্ড)

মনেরে আজ কহ যে, ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে । কেউ বা তোমায় ভলোবাসে কেউ বা বাসতে পারে না যে, কেউ বিকিয়ে আছে ,কেউ বা সিকি পয়সা ধারে না যে, কতকটা যে স্বভাব তাদের কতকটা বা তোমারো ভাই, কতকটা এ ভবের গতিক— সবার তরে নহে সবাই । তোমায় কতক ফাঁকি দেবে তুমিও কতক …

বোঝাপড়া //রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ক্ষনিকা,চতুর্থ খন্ড) Read More »

কেউ কথা রাখেনি // সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি ছেলেবেলায় বোষ্টুমি তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে তারপর কত চন্দ্রভুক অমাবস্যা এসে চলে গেল কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলো না পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি । মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলি বলেছিল,বড় হও দাদাঠাকুর তোমাকে আমি তিনপ্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে …

কেউ কথা রাখেনি // সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় Read More »