Poem & Drama

ব্ল্যাক মার্কেট-সুকান্ত ভট্টাচার্য

হাত করে মহাজন, হাত করে জোতদার, ব্ল্যাক-মার্কেট করে ধনী রাম পোদ্দার, গরীব চাষীকে মেরে হাতখানা পাকালো বালিগঞ্জেতে বাড়ি খান ছয় হাঁকালো । কেউ নেই ত্রিভুবনে , নেই কিছু অভাবও তবু ছাড়ল না তার লোক-মারা স্বভাবও । একা থাকে , তাই হরি চাকরটা রক্ষী ত্রিসীমানা মাড়ায় না তাই কাক-পক্ষী । বিশ্বে কাউকে রাম কাছে পেতে চান …

ব্ল্যাক মার্কেট-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

ছাড়পত্র-সুকান্ত ভট্টাচার্য

যে শিশু ভূমিষ্ট হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুম : সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক, নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে । খর্বদেহ নিঃসহায়,তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত উত্তোলিত, উদ্ভাসিত কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায় । সে ভাষা বোঝেনা কেউ, কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার । আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি সে …

ছাড়পত্র-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

একটি মোরগের কাহিনী-সুকান্ত ভট্টাচার্য

একটি মোরগ হঠাৎ আশ্রয় পেয়ে গেল বিরাট প্রাসাদের ছোট্ট এক কোণে, ভাঙা প্যাকিং বাক্সের গাদায়— আরো দু’তিনটি মুরগীর সঙ্গে । আশ্রয় যদিও মিলল, উপযুক্ত আহার মিলল না । সুতীক্ষ্ণ চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে গলা ফাটাল সেই মোরগ ভোর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত— তবুও সহানুভূতি জানাল না সেই বিরাট শক্ত ইমারত । তারপর শুরু হল তার আঁস্তাকুড়ে আনাগোনা …

একটি মোরগের কাহিনী-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

চিল-সুকান্ত ভট্টাচার্য

পথ চলতে চলতে হঠাৎ দেখলাম : ফুটপাতে এক মরা চিল ! চমকে উঠলাম ওর করুণ বীভৎস মূর্তি দেখে । অনেক উঁচু থেকে যে এই পৃথিবীটাকে দেখেছে লুন্ঠনের অবাধ উপনিবেশ ; যার শ্যেন দৃষ্টিতে কেবল ছিল তীব্র লোভ আর ছোঁ মারার দস্যু প্রবৃত্তি— তাকে দেখলাম , ফুটপাতে মুখ গুঁজে প’ড়ে । গম্বুজ শিখরে বাস করত এই …

চিল-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

ছাড়পত্র-সুকান্ত ভট্টাচার্য

যে শিশু ভূমিষ্ট হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুম : সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক, নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে । খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত উত্তোলিত, উদ্ভাসিত কী এক দু্র্বোধ্য প্রতিজ্ঞায় । সে ভাষা বোঝেনা কেউ, কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার । আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি …

ছাড়পত্র-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

দেশলাই কাঠি-সুকান্ত ভট্টাচার্য

আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি এত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি না ; তবু জেনো মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ– বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস ; আমি একটা দেশলাইয়ের কাঠি । মনে আছে সেদিন হুলস্থুল বেধেছিল ? ঘরের কোণে জ্বলে উঠেছিল আগুন— আমাকে অবজ্ঞাভরে না-নিভিয়ে ছুঁড়ে ফেলায় ! কত ঘরকে দিয়েছি পুড়িয়ে, কত প্রাসাদকে করেছি …

দেশলাই কাঠি-সুকান্ত ভট্টাচার্য Read More »

টুনটুনি-প্রচলিত ছড়া

এক যে ছিল টুনটুনি থাকলে বেগুন গাছে, এমন সময় বেড়াল মাসি এলেন তারি কাছে (৩ বার লাফ) । টুনটুনি যে, আয়না কাছে একটু আলাপ করি , কথা বলার সঙ্গী নেই যে একলা ঘুরে মরি । টুনি বলে,মতলব তোর নয়কো ভালোবাসি, গেলেই কাছে ধরবি গলা এখন তবে আসি ।।

বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দিনের আলো নিবে এল, সুয্যি ডোবে ডোবে । আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে– চাঁদের লোভে লোভে । মেঘের উপর মেঘ করেছে– রঙের উপর রঙ, মন্দিরেতে কাঁসর ঘন্টা বাজল ঠঙ ঠঙ । ও পারেতে বিষ্টি এল, ঝাপসা গাছপালা । এ পারেতে মেঘের মাথায় একশো মানিক জ্বালা । বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে ছেলেবেলার গান– বিষ্টি পড়ে টাপুরর টুপুর, …

বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Read More »

কলকাতার যিশু-নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

লাল বাতির নিষেধ ছিল না, তবুও ঝড়ের-বেগে-ধাবমান কলকাতা শহর অতর্কিতে থেমে গেল ; ভয়ঙ্করভাবে টাল সামলে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল ট্যাকসি ও প্রাইভেট, টেম্পো,বাঘমার্কা ডবলডেকার । ‘গেল গেল ‘ আর্তনাদে রাস্তার দু’দিক থেকে যারা ছুটে এসেছিল– ঝাঁকামুটে, ফিরিওয়ালা, দোকানি ও খরিদ্দার— এখন তারাও যেন স্থির চিত্রটির মতো শিল্পীর ইজেলে লগ্ন হয়ে আছে । স্তব্ধ হয়ে সবাই …

কলকাতার যিশু-নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী Read More »

প্রিয়তমাসু-নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

তুমি বলেছিলে,ক্ষমা নেই,ক্ষমা নেই । অথচ ক্ষমাই আছে । প্রসন্ন হাতে কে ঢালে জীবন শীতের শীর্ণ গাছে । অন্তরে তার কোনো ক্ষোভ জমা নেই । তুমি বলেছিলেে, তমিস্রা জয়ী হবে । তমিস্রা জয়ী হল না । দিনের দেবতা ছিন্ন করেছে অমারাত্রির ছলনা ; ভরেছে হৃদয় শিশিরের সৌরভে । তুমি বলেছিলে,বিচ্ছেদই শেষ কথা । শেষ কথা …

প্রিয়তমাসু-নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী Read More »